December 24, 2024, 6:17 pm
পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোরঃ কেশবপুরে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদ-উল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুরো রমজান জুড়ে, মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ সকালে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজা পালন করেন। এই সময়কালে, কেবল খাবার নয়, এমনকি পানিও পান করা হয় না। ‘ঈদ’ অর্থ যা ফিরে ফিরে আসে। ‘ফিতর’ অর্থ ভেঙে দেওয়া বা ইফতার (নাস্তা) করা। ঈদুল ফিতর মানে সে আনন্দঘন উৎসব, যা দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আসে। নৈতিক, আত্মিক ও সামাজিক পরিশুদ্ধির সীমানা পেরিয়ে সামষ্টিক কল্যাণ নিয়ে ঈদ আসে। ঈদ আসে বিশ্ব মুসলিমের দ্বারপ্রান্তে বার্ষিক আনন্দের মহা বার্তা নিয়ে, আসে সীমাহীন প্রেম-প্রীতি বিলাবার সুযোগ নিয়ে, বিগত দিনের সকল ব্যথা বেদনা ভুলিয়ে দিতে, কল্যাণ ও শান্তির সওগাত নিয়ে। অনাবিল শান্তি ও অবারিত আনন্দের বার্তা নিয়ে ঈদের এক ফালি চাঁদ পশ্চিম দিগন্তে ভেসে ওঠে, তখন সর্ব শ্রেণির মানুষের হৃদয় গহিনে বয়ে যায় আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মৃদু দোলা। ঈদ বান্দার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি বড় নেয়ামত।
কেশবপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল-২৪) প্রথম জামাতে নামাজ পড়ান, কেশবপুর উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের ঈমাম মাওলানা মোঃ আব্দুর রহমান এবং দ্বিতীয় জামাতে নামাজ পড়ান বাইশা বাইতুল মোকারম জামে মসজিদের ঈমাম মাওলানা আবুল কাশেম। কেশবপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজ পড়েন, মোঃ আজিজুল ইসলাম, মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য, ৯০ যশোর-৬, কেশবপুর, কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তুহিন হোসেন, কেশবপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ কমিটির সভাপতি, মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল প্রমূখ। কেশবপুরের সাবেক এমপি আব্দুল হালিম নামাজ আদায় করেন বড়েঙ্গা নিজ বাড়ির মসজিদে।
ঈদের জামাত শেষে অনুষ্ঠিত বিশেষ মুনাজাতে সমগ্র মুসলিম উম্মাসহ দেশ-জাতির মঙ্গল ও সমৃদ্ধি এবং দেশে-দেশে নিপীড়িত-নির্যাতিত মুসলমানদের রক্ষায় মহান আল্লাহতায়ালার রহমত ও বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করা হয়। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুকূল আবহাওয়ার মধ্য দিয়ে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
১১/০৪/২৪